রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, কিন্তু রোজা রাখার ফলে অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধ বা শুষ্কতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। জেনে নিন রোজা রেখেও কীভাবে মুখের সতেজতা ধরে রাখবেন।
রমজান মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা হয়। পানি পান না করার ফলে লালা নিঃসরণ কমে যায়, যার ফলে 'ড্রাই মাউথ' বা মুখ গহ্বর শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয় এবং মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তবে, রুটিনে ছোট কিছু পরিবর্তন এনেই আপনি আপনার মুখ সতেজ ও সুস্থ রাখতে পারেন।
সেহরি ও ইফতারের গুরুত্ব
- পর্যাপ্ত পানি পান: ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করুন। এটি দিনের বেলা মুখে লালা নিঃসরণ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
- মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন: ইফতারে ভাজা-পোড়া ও অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন, কারণ চিনি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- ফল ও সবজি খান: আপেল, শসা ও গাজরের মতো আঁশযুক্ত খাবার দাঁত পরিষ্কার রাখতে এবং লালা উৎপাদনে সাহায্য করে।
রমজানে ওরাল হাইজিন রুটিন
১. সেহরির পর ব্রাশ করা: সেহরির পর দাঁত ভালোভাবে ব্রাশ করা অত্যন্ত জরুরি। ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন এবং নিশ্চিত করুন যেন দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে না থাকে।
২. ফ্লসিং বাদ দেবেন না: দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার বের করতে ফ্লসিং করুন, যা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা যায় না। পচে যাওয়া খাবারই দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ।
৩. জিহ্বা পরিষ্কার রাখা: জিহ্বার ওপর সাদা আস্তরণ মূলত ব্যাকটেরিয়ার স্তর। টাং স্ক্র্যাপার দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করলে মুখের দুর্গন্ধ অনেকটাই কমে যায়।
৪. মেসওয়াক করা: দিনের বেলা মেসওয়াক করা সুন্নত এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবেও এটি দাঁতের জন্য উপকারী। এটি রোজা অবস্থায় জায়েজ এবং মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া যাবে কি?
হ্যাঁ, অধিকাংশ আলেমের মতে, ফিলিং, স্কেলিং বা দাঁত তোলার মতো চিকিৎসায় রোজা ভাঙে না, যদি না আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু গিলে ফেলেন। আপনার সুবিধার্থে রমজান মাসে স্মাইল ডেন্টাল কেয়ার-এ ইফতারের পরও সেবা চালু থাকে।
উপসংহার: মুখের পরিচ্ছন্নতা ইবাদতে মনোযোগ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। নিয়ম মেনে চলুন এবং পবিত্র মাসের বরকত উপভোগ করুন।







মন্তব্যসমূহ (0)
কোন মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আলোচনা শুরু করুন!